২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশী হেলাল শেখসহ ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন

ঠিকানা রিপোর্ট: নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিশিয়া জেমস গত নভেম্বরের নির্বাচনে এটর্নী জেনারেল নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এটর্নী জেনারেল নির্বাচিত হওয়ায় এই পদে স্পেশাল নির্বাচন হচ্ছে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচন বাংলাদেশীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচনে ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে একজন বাংলাদেশী রয়েছেন। বাংলাদেশী প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন হেলাল শেখ। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন এ্যাসেম্বলীম্যান ও ডেমোক্রাটিক ন্যাশনাল কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল ব্লাক, ডেভিট আইজেনবাক, র‌্যাফায়েল এসপিনাল, রন কিস, নমিকি কংসট, সেলিকা মার্ক, ড্যানি ওভেনেল, এটর্নী জ্যারেড রিক, ডোয়ান স্মানস, এরিনা উলরিচ, টিপার বেনিয়ামিনসহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশী প্রার্থী হেলাল শেখ বলেন, নিউইয়র্ক পাবলিক এডভোকেট পদে নির্বাচনটি সম্পূর্ণররূপে ভিন্ন। এই ধরনের স্পেশাল নির্বাচন সাধারণ হয় না। এ নির্বাচন হয় প্রাইমারির মাধ্যমে। কিন্তু এবার হচ্ছে ভিন্নভাবে। যে কারণে এই নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যাও অনেক বেশি। এই পদের জন্য সর্বমোট ৩০ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বিভিন্ন কারণে ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এখন চূড়ান্তভাবে রয়েছে ১৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে হেলাল শেখই বাংলাদেশী এবং মুসলিম প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন। বাকি যে সব প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে ৪ জন কৃষ্ণাঙ্গ, ৪ জন স্প্যানিশ, ১ জন চাইনিজ, অন্য প্রার্থীরা শ্বেতাঙ্গ। ভোট গ্রহণ শুরু হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টায় এবং শেষ হবে রাত ৯টায়। অন্যান্য নির্বাচনের সময় ভোটাররা যে সব কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন, এবারো তারা সেই সব কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
হেলাল শেখ বলেন, ব্যালটে আমার নাম সবার শেষে। জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একটি স্পেশাল নিব্র্াচন। একজন প্রার্থীকে ভোটাররা নির্বাচিত করবেন। আমার মনে হয় এ নির্বাচনে খুব কম সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে আসবেন। আমি আশা করি বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ান এবং মুসলিম কম্যুনিটি যদি ভোট দিতে আসে তাহলে আমার জয়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। বিভিন্ন মিডিয়ার জরিপে দেখা যায়, এ নির্বাচনে কে জয়লাভ করবেন তা আগ থেকে বুঝা না গেলেও মাইকেল ব্লাক এগিয়ে রয়েছেন। হেলাল শেখ বাংলাদেশী ও মুসলিম কম্যুনিটির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এটা আমাদের জন্য একটি সূবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ যেন আমরা হাত ছাড়া না করি। ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে আমাদের অধিকার আদায় নিশ্চিত করি।