২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিনিধি : নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ডিসেম্বরের শেষে কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথমে।
নির্বাচন কমিশনের শীর্ষস্থানীয় সূত্রে আভাস পাওয়া যায়, ভোট গ্রহণের আগামী তারিখও কমিশন ঠিক করে রেখেছে। নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। ডিসেম্বরে মহাবিজয়ের মাসে ভোটের দিন নির্ধারণের সম্ভাবনাই প্রবল। সরকারি দলসহ সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত, সুপারিশ নেওয়ার চেষ্টা করবে নির্বাচন কমিশন। একাধিক কূটনৈতিক সূত্রে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বিএনপি এখন নানা কথা বললেও তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত তাদের রয়েছে। লন্ডন থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তা এসেছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। সরকারের কাছ থেকে যতটা সম্ভব আদায় করে নেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা, প্রশাসন ও সরকারের সকল পর্যায়ে শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার প্রকাশ্য ঘোষণা দেবে সরকার। দেশি-বিদেশি সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যবেক্ষক আসার সুযোগ দেবে নির্বাচন কমিশন ও সরকার। ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের সাথে আলোচনায় আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, জালিয়াত-সন্ত্রাসমুক্তভাবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় সন্তুষ্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরবর্তীতে তাদের সাথে আরেক দফা বৈঠকে বসবেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা এভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। তারা এ ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত বলে মনে করেন। তার পরও বিএনপি ও অপর কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বল্পসংখ্যক নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা। নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জেলায় সর্বোচ্চ একটি করে আসনে শতভাগ পোলিং সেন্টারে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করবে। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব কটি রাজনৈতিক দলকে ইভিএম ব্যবহার-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য তাদেরকে নাম পাঠাতে অনুরোধ জানানো হবে।