২ মাসের জন্য ভাগ্য সুপ্রসন্ন হল শেলডন সিলভারের

ঠিকানা রিপোর্ট: দুর্নীতির দায়ে ৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত সাবেক অ্যাসেম্বলী স্পীকার এবং ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ শেলডন সিলভার আরও ২ মাস মুক্তজীবন যাপনের সুযোগ পেলেন। সেকেন্ড ইউএস সার্কিট কোর্ট আপীলসের ৩ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত মোশনস প্যানেল সিলভারের আপীলসের ব্রীফস প্রস্তুতির জন্য ৭৪ বছর বয়স্ক সিলভারকে ৪ অক্টোবর কারাগারে হাজির হওয়ার স্থলে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করায় সিলভারের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে বলে ৪ অক্টোবর জানা যায়।
অ্যাপীলেট জাজ যোসে ক্যাবরানেস বলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সিলভার মুক্ত থাকবেন না-কি তাকে কারাগারে হাজির হতে হবে তা নির্ভর করবে জাজদের সিদ্ধান্তের উপর। মেথোলিমা গবেষক এবং দুটি রিয়্যাল এস্টেট কোম্পানীর কাছ থেকে দাপ্তরিক আনুকূল্য প্রদর্শনের মাধ্যমে রেফারেল এবং লিগ্যাল ফীর দাবিতে ৪ মিলিয়ন ডলার উৎকোচ গ্রহণের দায়ে সিলভারকে ২০১৬ সালে প্রথম দফা দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সে মামলায় সাফল্যের সাথে আপীল করায় সিলভার স্বাধীন জীবন যাপনের সুযোগ পান। মে মাসে সিলভার আবার দোষী সাব্যস্ত হন এবং ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ভ্যালেরী কাপরনি জুলাই মাসে ৭ বছরের কারাদন্ড ছাড়াও ১.৭৫ মিলিয়ন জরিমানা এবং ৩ মিলিয়ন ডলার জব্দ করেন। গত সপ্তাহে একজন আপীল জাজ বলেন যে একটি প্যানেল সিলভারের জামিন অনুরোধের শুনানী না করা পর্যন্ত সিলভারকে কারাগারে আত্মসমর্পণ করতে হবে না।
২০১৫ সালের প্রথম মামলায় ফেডারেল ব্রাইবারী আইনের চাহিদা সম্পর্কে বিচারক ক্যাপরনি পুনরায় জুরিবৃন্দকে বেঠিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন- সিলভারের উক্ত দাবির বিষয়ে এক ঘন্টা যুক্তিতর্কের পর সিলভারের জামিনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। তার আইনজীবী মীর ফেডার বলেন, জুরিবৃন্দকে ক্যাপরনির বলা উচিত ছিল যে অর্থের বিনিময়ে বিশেষ কাজ করার জন্য যারা সিলভারকে ঘুষ দিয়েছিল তাদের সাথে একটি এগ্রীমেন্ট সিলভারকেই খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু বিচারক তা না করে নিছক আনুকূল্য লাভের অর্থভিত্তিক প্রমাণাদির ভিত্তিতে সিলভারকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য জুরিবৃন্দকে অনুমতি দিয়েছিলেন।
এদিকে প্রসেকিউটর ড্যানিয়েল রিচেনথাল বলেন, এগ্রীমেন্টের কোন দরকার ছিলনা। আর তা দরকার হলেও সিলভারের মামলায় প্রমাণাদি ছিল ওভারহেলমিং (মাত্রাতিরিক্ত) জুরি ইন্সট্রাকশনে যে যে কোন ফ্ল বা প্রবাহ ছিল ক্ষতিকর। প্যানেল সদস্য জাজ রবার্ট স্যাক বলেন, মামলার লঘুত্ব গুরুত্ব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গিক ধারণা ছাড়া আপীল সাপেক্ষে জামিনের মান নির্ধারণ করা কষ্টকর। জামিন কোয়েশচনে দাখিলকৃত ব্রীফগুলো মেরিটের ব্যাপারে বিশদ বর্ণনা দেয়নি। তিনি বলেন, আমরা সচরাচর যে সকল মামলার শুনানী করে থাকি তার চেয়ে এটি অত্যন্ত সুগভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমার উদ্বেগ হচ্ছে এ ধরনের মেরিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন কিছু সিদ্ধান্তকরণের কষ্ট। কাবরানেস ঘোষিত সময়সীমা মোতাবেক সিলভারকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে ব্রীফস দাখিল করতে হবে, প্রসেকিউটরগণকে নিজেদের ব্রীফস দাখিল করতে হবে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এবং সিলভারকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে জবাব দিতে হবে।