ঠিকানা রিপোর্ট : প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এখন থেকে তিন হাজার ডলার বা তার বেশি রেমিট্যান্স পাঠালে মানি এক্সচেঞ্জকে দিতে হবে তথ্য। কারণ অর্থ পাঠানোর জন্য একটি লিমিট রয়েছে, তা পেরিয়ে গেলে সেটি রিপোর্ট করতে হয়। দুই হাজার ডলারের বেশি হলে রিপোর্ট করা হয়। আর তিন হাজার ডলার পর্যন্ত পাঠানো হলে নথিপত্র দিতে হয়। তবে অনেকেই একসঙ্গে বেশি অর্থ না পাঠিয়ে কয়েক দফায় পাঠান। এ ক্ষেত্রে রিপোর্ট করার প্রয়োজন পড়ে না। তবে আয়ের সঙ্গে ব্যয় ও অর্থ পাঠানোর মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকতে হবে।
সূত্র জানায়, দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ি রয়েছে। কারণ এখান থেকে কেউ অর্থ পাঠিয়ে সেটি সন্ত্রাসী কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য দিচ্ছেন কি না, সেটি প্রতিনিয়ত নজরদারি করা হয়। এ জন্য মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো গভীরভাবে মনিটরিং করে, বিদেশ থেকে যারা বিভিন্ন দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তা আসলে কোন খাতে যাচ্ছে এবং কার কাছে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের মানুষের যার কাছে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, তিনি যখন অর্থ নিচ্ছেন, তখন তাকে আইডি দেখিয়ে নিতে হয়।
সূত্র আরো জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে মানি এক্সচেঞ্জগুলোর মাধ্যমে কে কোন দেশে, কার কাছে, কত অর্থ পাঠাচ্ছেন এবং যে অর্থ পাঠানো হয়, সেই অর্থ কোথায় যাচ্ছে, এটি মনিটর করার যথেষ্ট উপায় রয়েছে। তবে এ দেশে যারা নথিপত্রহীন আছেন, তারাও চাইলে দেশে অর্থ পাঠাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। কারণ দুই হাজার ডলারের কম অর্থ কেউ দেশে পাঠালে এ জন্য নথিপত্র চাওয়া হয় না। কারো যদি কাগজপত্র না থাকে, সে ক্ষেত্রে তার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নেওয়া হয় ও অর্থ পাঠানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যারাই অর্থ পাঠান, তাদের বিষয়ে আইআরএসসহ মানি এক্সচেঞ্জ মনিটরিং করে এমন সব সংশ্লিষ্ট সংস্থা সব তথ্য জানতে পারে। সব ট্রানজেকশনেই দেখা হয় অর্থটি কোনো সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য কারো কাছে যাচ্ছে কি না।
এদিকে এমন ঘটনাও আছে, স্বামী তার স্ত্রীকে না জানিয়ে দেশে অর্থ পাঠান। আবার স্ত্রীও অনেক সময় স্বামীকে না জানিয়ে অর্থ পাঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে স্ত্রী বা স্বামী অভিযোগ করেন। তারা অ্যাটর্নি নিয়োগ করেন। অ্যাটর্নি নিয়োগ করলে মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলো ওই ব্যক্তির দেশে অর্থ পাঠানোর বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে।
মানি এক্সচেঞ্জের একটি সূত্র জানায়, প্রবাসীদের মধ্যে এমন কিছুু নারী আছেন, যারা চান না তার স্বামী তাকে না জানিয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান। এ নিয়ে অনেক সময় পারিবারিক সমস্যা তৈরি হয়। স্ত্রী কর্তৃক অ্যাটর্নি নিয়োগ করার কারণে বিষয়টি মানি এক্সচেঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছায়। সে ক্ষেত্রে তথ্য না দিয়ে তাদের উপায় থাকে না।