৩১৩ কিলোমিটার হেঁটে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মোস্তাফা মিয়া

ঠিকানা অনলাইন : মোস্তফা মিয়া (৭১)। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত অনুসারী। প্রিয় নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত ৮ আগস্ট ফুলপুর থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের উদ্দেশে হেঁটে রওনা হন তিনি। ৩১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ১৯ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছেন তিনি।

এরপর মোস্তফা মিয়া তার ছেলে মরিুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ ৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন।

মোস্তফা মিয়া জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলার মাটিতে আমি জুতা পরিনি। এমনকি বিয়ের দিনেও জুতা পরিনি। পরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ঘোষিত হলে আমি ময়মনসিংহ-২ আসনের সাবেক এমপি মরহুম এম শামছুল হকসহ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের অনুরোধে পুনরায় জুতা পরা শুরু করি। বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বাবা তৎকালীন এমপি মরহুম এম শামছুল হক ময়মনসিংহ থেকে আমার জন্য উপহার হিসেবে জুতা এনেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল জাতির পিতার কবর জিয়ারত করব। কিন্তু এত দিন নানা অসুবিধায় সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন ছেলেরা সবাই বড় হয়েছে। তাই এবার শোকের মাসে হেঁটে টুঙ্গিপাড়া এসে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেছি। আমার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।

আমি চাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকুক। তিনি দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করুন। পাশাপাশি বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি।

মোস্তফা মিয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান বলেন, আমার পিতা একজন প্রকৃত বঙ্গবন্ধু অনুসারী। বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় নেতা। তাই আমার পিতা হেঁটে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের ইচ্ছা পোষণ করেন। আমরা গত ৮ আগস্ট ফুলপুর থেকে পায়ে হেঁটে রওনা হই। আজ এখানে এসে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেছি। পথে পথে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেছি। এখন আমরা গাড়িতে করে বাড়ি ফিরে যাব। শুধু পদ্মা সেতু হেঁটে পার হওয়ার সময় সেনা সদস্যরা বাধা দেন। পরে তারা সব শুনে তাদের গাড়িতে করে বাবা ও আমাকে সেতু পার করে দেয়। এটুকুই আমরা গাড়িতে চড়েছি মাত্র। বাদবাকি সব পথ হেঁটে এসেছি।

ঠিকানা/এসআর