ঠিকানা অনলাইন : নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কম ভাতা নেবেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক। ২০২২ সালে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ব্যবসা না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেই ভাতা কম নেওয়ার জন্য ভাতাবিষয়ক কমিটির কাছে চিঠি লিখেছেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের জন্য নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে কম ভাতা গ্রহণ করবেন টিম।
আজ ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার)যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অ্যাপলের জমা দেওয়া বিবরণীর সূত্র ধরে প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, অ্যাপলের বেতন ও ভাতাবিষয়ক কমিটি টিম কুকের ২০২৩ সালের ভাতা হিসেবে প্রায় ৪৯ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। তবে তার বাৎসরিক মূল বেতন ৩ মিলিয়ন ডলার এবং প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বোনাস আগের মতোই পাবেন কুক।
কুকের বেতনভাতায় মূল যে বিষয়টি প্রভাব ফেলবে সেটি হচ্ছে তাকে দেওয়া অ্যাপলের শেয়ারের মূল্যমান। ২০২৩ সালে শেয়ার স্টক বাবদ ৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে। ২০২২ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭৫ মিলিয়ন ডলার।
সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে ২০২২ সালে অ্যাপলের শেয়ার দর উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এই কারণে টিম কুকের বেতনভাতার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাপলের অন্যতম বিনিয়োগকারী ইনস্টিটিউশনাল শেয়ারহোল্ডার সার্ভিসেস (আইএসএস)।
আইএসএস অ্যাপলের শেয়ারহোল্ডারদের টিম কুকের বেতনভাতার প্যাকেজের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার তাগিদ দেন। আইএসএসের দাবি, অ্যাপলের কর্মীদের গড় বেতন থেকে টিম কুকের বেতন ১,৪৪৭ গুণ বেশি।
বিনিয়োগকারীদের এমন উদ্বেগ প্রকাশের পরই কমিটিকে নিজের বেতনভাতা কমিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন কুক। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিনিয়োগকারীদের দাবির সঙ্গে সমন্বয় করেই কুকের বেতন কমানো হয়েছে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১১ সালের আগস্টে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন টিম কুক। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই অ্যাপলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের মৃত্যু হয়।
টিম কুকের নেতৃত্বেই শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের প্রতিষ্ঠান হওয়ার মাইলফলক অর্জন করে অ্যাপল। অবশ্য প্রযুক্তি বাজারের জন্য টালমাটাল বছর হিসেবে প্রমাণিত হওয়া ২০২২ সালে এই মূল্যমান কমে দাঁড়ায় ২.১ ট্রিলিয়ন ডলারে।
ঠিকানা/এসআর