ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি ৪৫টি অঙ্গরাজ্যে।
প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, তারা ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বড় ধরনের কোনো জালিয়াতির কথা জানাতে পারেনি রাজ্যগুলো।
এদিকে মার্কিন অঙ্গরাজ্য সরকারের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো জালিয়াতি ও কারচুপির প্রমাণ পায়নি তারা।
অঙ্গরাজ্য সরকারের নির্বাচন অফিস স্থানীয়ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। স্বাধীনভাবে এসব নির্বাচনী অফিস কাজ করে থাকে। নির্বাচনী ফল প্রকাশের দায়িত্বে থাকেন অঙ্গরাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ।
নির্বাচনের রাত থেকেই পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোট গণনা নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প। অঙ্গরাজ্যটির অ্যাটর্নি জেনারেল জোস শাপিরো জানান, পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের একাধিক মামলা এরই মধ্যে বাতিল হয়ে গেছে। এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই।
মিশিগানের সেক্রেটারি অব স্টেট জোসলিন বেনসন নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, অঙ্গরাজ্যের অ্যাবসেন্টি ভোট ও ডাকযোগে পাওয়া ভোটের গণনা নিয়ে মামলা করার কথা বলেছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির। তবে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো জালিয়াতি, কারচুপির অভিযোগ বা প্রমাণ তাদের কাছে নেই।
একইভাবে কানসাস অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সেক্রেটারি অব স্টেট স্কট সোয়াব জানান, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে কোনো ভোট জালিয়াতি, কারচুপি বা অনিয়ম তিনি প্রত্যক্ষ করেননি।
মিনেসোটার সেক্রেটারি অব স্টেট স্টিভেন সাইমন মার্কিন সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, একজন মানুষও ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো বিতর্কে যাননি। তার মতে, কোথাও কোনো জালিয়াতি হয়নি।
৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী অফিস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জো বাইডেনকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করে।
নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন আন্তর্জাতিক নেতাদের অভিনন্দনও পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেন জিতলেও ফল মেনে নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেননি ট্রাম্প। উল্টো পরাজয় অস্বীকার করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা দেন তিনি।
ঠিকানা/এনআই