৪৫ বছর পর ৭৫ শতাংশ জমির মালিকানা পেল বাংলাদেশ

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুণ সীমান্তের ৭৫ শতাংশের বেশি জমির মালিকানা প্রায় ৪৫ বছর পর ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশ। ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টার দিকে ধামইরহাট সীমান্তে আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের পর জমির মালিকানা ফিরে পায় বাংলাদেশ।

১৪ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদিগুণ সীমান্তে ২৫৭/২০ আর পিলারের কাছে জমি নিয়ে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। জমিটি বাংলাদেশের ১০০ গজ অভ্যন্তরে হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশের কৃষকেরা চাষাবাদ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে চাষাবাদ করেতে বাধা দেয় বিএসএফ। ওই জমির বিরোধ নিষ্পত্তি করতে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করে বিজিবি। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ সাড়া দিলে বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি) এবং বিএসএফ ১৬৪ ব্যাটালিয়নের মধ্যে সীমান্ত পিলার ২৫৮/৬-এস এর কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আগ্রাদ্বিগুণ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ফুটবল মাঠে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়।

এ সময় বিজিবির পক্ষে ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন। অন্যদিকে ১২ সদস্যবিশিষ্ট বিএসএফের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের আরাদপুর ১৬৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার মিশ্রা।

এরপর উভয় দেশের সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করা হয়। মাপজোখ শেষে ৭৫ শতাংশ জমিসহ অতিরিক্ত কিছু জমি পায় বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত কোনো পক্ষ বর্ণিত জমিটি ভোগদখল করতে পারবে না, এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে পতাকা বৈঠকটি শেষ হয়।

পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের (১৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হামিদ উদ্দিন জানান, প্রায় ৪৫ বছর ধরে ওই জমি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সীমান্তের ৭৫ শতাংশেরও বেশি জমি ভারত নিজেদের বলে দাবি করছিল, যা বাংলাদেশের ভূখণ্ড হিসেবে আজ স্বীকৃতি পেল। উভয় দেশের কমান্ডার ছিলেন বৈঠকে। সরেজমিনে জমি মেপে আমরা তাদের দেখিয়েছি এটা বাংলাদেশের।

ঠিকানা/এনআই