বিশ্বচরাচর ডেস্ক : চিলির আটাকামা মরুভূমিতে মিলেছিল ৬ ইঞ্চির অদ্ভুত দর্শন এক কঙ্কাল। যে চেহারার সঙ্গে কল্পবিজ্ঞান কাহিনী বা চলচ্চিত্রে দেখতে পাওয়া ভিনগ্রহের প্রাণীর আশ্চর্য মিল স্বাভাবিকভাবেই উঠেছিল গুঞ্জন। ঘটনা আজকের নয়, পাঁচ বছর আগের। অবশেষে সেই রহস্যের সমাধান হলো। জানা গেল, ওই দেহটি আসলে কোনো প্রাণীর।
সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ও স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ওই কঙ্কালটি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্তে এসেছেন, ওই দেহটি আসলে একটি মানব ভ্রু। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জিনোম রিসার্চের একটি গবেষণাপত্রে।
পাঁচ বছর আগে ওই কঙ্কালকে নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তারপর কয়েক বছর ধরে তাকে নিয়ে চলেছে জোর আলোচনা। তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আটা’। ৬ ইঞ্চির এ মানবসদৃশ শরীরে মেরুদণ্ড, চক্ষুকোটর সবই রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক সঞ্চিতা ভট্টাচার্য জানান, দেহটি অন্তত ৪০ বছরের পুরানো এবং একটি মহিলার দেহ। তবে ওই কঙ্কালের ডিএনএ’র পুরোটা কিন্তু মানব দেহের নয় ৮ শতাংশ ডিএনএ’র সঙ্গে মিল নেই মানুষের জিনের।
তবে সেটা সম্ভবত এ কারণে, দেহটি ৪০ বছর ধরে মরুভূমিতে পড়ে রয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ে জিনের ক্ষয় হয়ে তাকে কিছু ক্ষেত্রে মনুষ্যচিহ্ন রহিত করে তুলেছে। সূত্র : এবেলা