ঠিকানা রিপোর্ট : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্ক সিটির সব পাবলিক স্কুল আবার খুলছে। শুরু হচ্ছে ক্লাস। গত ২৬ জুন শেষ হয়েছিল নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলের ক্লাস। এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সব স্কুল। কিছু স্কুলে সামারে ক্লাস হয়েছে, তবে তা সীমিত পরিসরে।
বিগত দুই বছর করোনার কারণে অনেক বিধিনিষেধের মধ্যে সময় পার করতে হয়েছে নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের কর্মকর্তা, স্কুলের প্রিন্সিপাল, টিচার, স্টাফ, স্টুডেন্টসহ সেখানে কর্মরত সবাইকে। সেই সঙ্গে অভিভাবকদেরও টেনশনের কমতি ছিল না। তবে এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় করোনার বিষয়ে কিছুটা শিথিলতা এসেছে। এখন মাঙ্কিপক্স ও পোলিও নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, পাশাপাশি টিকাও দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হচ্ছে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। ইতিমধ্যে ফ্রেশম্যান ইয়ারের জন্য ওরিয়েন্টেশন চলছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই মাস থেকে ওরিয়েন্টেশন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতিমধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। সেসব শিক্ষার্থী ছুটিতে গিয়েছেন, তারাও সিটিতে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। এদিকে যারা নতুন মিডল স্কুল, হাই স্কুল ও কলেজে যাচ্ছে, তাদের পরিবারে আনন্দ বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের পরিবারে চলছে কেনাকটার ধুম। স্কুলব্যাগ, পোশাক, স্টেশনারিসহ বিভিন্ন জিনিস স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য কিনতে হচ্ছে।
কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বাসা ছেড়ে ডর্মে যাচ্ছেন, তাদের জন্য কেনাকাটা হচ্ছে অনেক বেশি। কিনতে হচ্ছে ডর্ম রুম সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে বাসা বদলের জন্য যা যা প্রয়োজন এর সবকিছু। নতুন ল্যাপটপ, আইফোন, মোবাইল ফোন, আইপ্যাডসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। এতে এই মাসে কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পরিবারের খরচ অনেক বেড়েছে। একজন শিক্ষার্থীর ডর্মে যাওয়ার জন্য কেনাকটা করতে যে খরচ হচ্ছে, এর পরিমাণ দেড় থেকে পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত। সেই সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে কলেজের টিউশন ফি। সব মিলিয়ে অভিভাবকদের ওপর চাপ বেড়েছে। যারা ডর্মে যাচ্ছেন না, বাসায় থেকেই কলেজে যাবেন, তারাও প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করছেন। এখন বিভিন্ন পোশাকের দোকান ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর দোকানে কেনাকাটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বুক স্টোরেও চলছে বই, স্টেশনারিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যাক টু স্কুলের জন্য স্কুলসামগ্রী বিতরণ করছে।