‌‌‘পরাজয়ের ভয়ে ভোট গণনা বন্ধের দাবি ট্রাম্পের’

ঠিকানা অনলাইন : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ঝুলে আছে বাকী চার অঙ্গরাজ্যে। গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটের প্রকাশিত ফলাফলে বিশাল জয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটক দলের প্রার্থী জো বাইডেন। বাকী চার রাজ্যের মধ্যে যে কোনো এক রাজ্যের জয়েই জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এমন আভাস পেয়ে বাকী চার রাজ্যের ভোট গণনা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন নির্বাচনে পিছিয়ে পড়া রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডাকযোগের ব্যালট গণনা বন্ধের দাবিকে অন্যায্য, বিপজ্জনক এবং দায়িত্বহীন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির বিচার বিভাগের সাবেক আইন কর্মকর্তা লিসা গ্রেইভস।

লিসা গ্রেইভস বলেন, ‘সংবিধানকে অসম্মান করেন, এমন ব্যক্তির পক্ষেই ভোট গণনা বন্ধের মতো অসাংবিধানিক, অন্যায্য, বিপজ্জনক এবং অসংগত দাবি করা সম্ভব। আইনের প্রতি যে ট্রাম্পের কোনো শ্রদ্ধা নেই, এটা স্পষ্ট। পরাজয়ের আভাস পেয়ে ভোট গণনা বন্ধের জন্যে মামলা করে প্রতিটি নাগরিকের ভোট গণনার অধিকারকে অসম্মান করেছেন ট্রাম্প।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই উপসহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গণনা বন্ধের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আগে কখনো শোনা যায়নি। প্রতিটি ভোট গণনা হবে, এটাই গণতন্ত্র। ব্যালট গণনার জন্য সংবিধানে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’

ফল ঘোষণার বাকি থাকা পাঁচ অঙ্গরাজ্যের চারটিতেই ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও নেভাদায় এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার মধ্যে নেভাদা, পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া ও আলাস্কার ভোটের ফলাফল এখনো মেলেনি। এগুলোতে এখনো ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, আলাস্কায় তিনটি ও নেভাদায় ছয়টি মহামূল্যবান ইলেকটোরাল ভোট আছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রজেকশন অনুযায়ী, নেভাদায় ৮৪ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে, যার ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাইডেন। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এখানে জয় পেলে আকাঙ্ক্ষিত ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটই হতে পারে বাইডেনের হোয়াইট হাউসে যাওয়ার চাবিকাঠি।

অন্যদিকে আবারও প্রেসিডেন্ট হতে হলে ট্রাম্পকে নেভাদাসহ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের সব (৬০টি) ইলেকটোরাল ভোটই পেতে হবে।

ঠিকানা/এসআর