Wednesday, November 29, 2023
হোম সাহিত্যের খোলা জানালা

সাহিত্যের খোলা জানালা

পশুর হাটে গরুর গুঁতা

কাজী নাজরিন বিট্টু মিয়া খুশিমনেগেছে পশুর হাটেশখের বশে গরু দেখতেবিট্টু গেছে ছুটে।বিট্টু মিয়া আদর করেগরুর ধরে শিংবিট্টুর পেটে গুঁতা মেরেগরু ছোটে তিড়িংবিড়িং।পশুর হাটে বিট্টু মিয়াধরে দুটো কানআর যাবে না পশুর হাটেকরে অভিমান।

অন্তত দুটি ঈদে

মনজুর কাদের ধনী আর গরিব ভাই ভাই সবেএসব কেতাবি কথায়কবির আকুতি কাজেও আসেনিআঁচড় লাগেনি প্রথায় এক পাশে আছে ক্ষুধাতুর মানুষআর পাশে খানাপিনাভেদাভেদহীন পৃথিবী জানি নাকোনোকালে ছিল কি না দয়া করে যেন দেয় অধিকারফাটকের বন্দীরেতেমনি করেই বাড়ে ভেদাভেদমসজিদে...

জনৈক পশুপ্রেমিকের কষ্ট

মামুন জামিল সকালের নাশতায় পরোটা ও নেহারিদুপুরের লাঞ্চ মেন্যু ঘিয়ে মাখা তেহারি,তন্দুরি রুটি আর ‘বিফ-স্ট্যু’ ডিনারেকাবাবের পিসও থাকে সালাদের কিনারে! কলিজার শিঙাড়া খাই জলখাবারে একসাথে একাধিক জুড়ি নাই সাবাড়ে!মাঝে মঝে খাই খুঁজে তন্দুরি ‘বিফরিব’আহা কী স্বাদ তার...

বকরি ঈদের শিক্ষা

সুব্রত চৌধুরী : বকরি ঈদে দেয় যে শিক্ষাত্যাগেই মেলে সুখ,হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে গিয়েরঙিন হাসিমুখ।মনের ভেতর পশুশক্তিকরবে আগে জবাই,অন্তর মাঝে করবে ধারণসত্য বাণী সবাই।ত্যাগের সুখে মিষ্টিমুখেভালো কাজে মাতি,আঁধার কেটে ঘরে ঘরেজ্বলবে সুখের বাতি।বকরি ঈদের ত্যাগে বান্দামনে পাবে...

মাথার ওপর ছাতা

সুব্রত চৌধুরী : বাবার হাতে হাতটি রেখে গুটি গুটি পায়নদীর পাড়ে খোলা মাঠে খুকু মেলায় যায়।গাঁয়ের মেলায় সওদা করে আলতা, চুড়ি আরসাপের খেলায়, পুতুলনাচে সময় করে পার। বায়োস্কোপে দেখে ছবি গাঁয়ের মেলায় ওইতিড়িংবিড়িং বানর নাচে রাখবে...

বর্ষার হাইকু

টি এইচ মাহির : ঝুম বরষা,ঠান্ডা বৃষ্টির জলেমনে হরষা। বৃষ্টির গন্ধে,হৃদয়ে ঝড় ওঠেপদ্যের ছন্দে। কদম কেয়া,শ্রাবণের অলংকাররূপের খেয়া। ঘূর্ণির কল্প,পঙ্খিরাজ ঘোড়ায়আষাঢ়ে গল্প। শ্রাবণের বন্যা,খাল বিল পানিতেকান্নায় কন্যা। বর্ষার জলে,নৌকায় ধরি মাছখালে ও বিলে। বর্ষায় ভোজ,ভাজা মাছে রসনাখিচুড়ি রোজ। জমেছে মেঘ,গুমোট অন্ধকারবাতাসে বেগ। বৃষ্টিবিলাস,কাদামাখা...

প্রথম প্রেমের স্মৃতি

কাজী নাজরিন : নীলাম্বরী জানো সৈকতে দেখাসেই প্রথম প্রেমের স্মৃতি আমাকেআজও রীতিমতো কাঁদায়প্রথম পরিচয়ে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে বিশ্বাসকরেছিলে।অষ্টপ্রহর পার করেছি বহুদিনকিন্তু ভুলতে পারিনি সেই প্রথম স্মৃতি।নীলাম্বরী তোমার নীল চোখ আরখোলা চুলের সেই জাদুর স্পর্শআজও আমাকে রীতিমতো...

জননী ও জায়া

সুজন দাশ : শত যন্ত্রণা বুকে নিয়ে কারা হাসি ধরে রাখে মুখে?বয়ে নিয়ে যান সংসারতরী আগলাতে পারে দুখে!গোটা পরিবার কার মুখ চেয়ে নির্ভরতায় হাঁটে,সকাল-সন্ধ্যা গাধার মতন বলুন তো কারা খাটে? আপনার সুখ ভাবে না কখনো সবার...

সোনার হরিণের প্রত্যাশী

জাহানারা ইউসুফ : অনেক আশা নিয়ে এসেছি আমেরিকা,ছেলেমেয়ে মানুষ হবে পেয়ে উচ্চ শিক্ষা-দীক্ষা।পরবে শার্ট, কোর্ট, টাই; বদলে যাবে বেশভূষার পুরোটাই।পরবো না বাঙালি পোষাক লুঙি শাড়ি,ভুলেই যাবো ছিলো দূর ছোট এক অজ পাড়া গাঁয় মোর বাড়ি।যেখানে...

দু’মেরুতে বাস

আনজানা ডালিয়া : দূরত্বটা একদিন ঘুচে যাবেমুহূর্তগুলো সুন্দর হয়ে উঠবেসেদিনও এমনি করে সামনে বসিয়ে রাখবমনের নিয়ন্ত্রণ সামলে রেখে ভালোবাসব।তখনো সেই উচ্ছল কিশোরীর মতো প্রজাপতির ডানায় খুঁজব তোমায়বের করে নেব তোমার ভেতরের কবিতা আর আড়ালের সময়।আমরা...

শুক্লা রায়ের আবৃত্তি সন্ধ্যায় মুগ্ধ দর্শক

ঠিকানা রিপোর্ট : মিলনায়তন ভর্তি দর্শক মুগ্ধ হয়ে দেখলেন এবং শুনলেন। দেড়ঘন্টার অনবদ্য পরিবেশনায় শিল্পী শুক্লা রায় শোনালেন জয়িতা ও শোভনের প্রেম-বিরহের গল্প। প্রাসঙ্গিকভাবে আবৃত্তি করলেন অনেকগুলো চমৎকার কবিতা। সঙ্গে সেতার, বাঁশি আর সঙ্গীতের...

লাল আর লাল

শাওন আসগর তিন বছর হয়ে গেল এখানে থাকছি, এই মেসে আরো ছয়জন। অথচ কখনো চোখে পড়েনি ঐ লাল বাগানবিলাস পুষ্প গাছটি। আগে জানতাম এ ফুলগাছের উচ্চতা চার-পাঁচ ফুট হতে পারে, কিন্তু এটি কী করে অত...

কবিতার কবিতা

নন্দিনী মুস্তাফী কখনো কারও যে হইনি কবিতাইচ্ছে ছিল কেউ লিখুক দু’লাইন,কিশোরী এই পলল বালারহাত দু’খানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে। আমার ইচ্ছের ঘুড়ির লাটাইটাছেড়ে দিই কোন অজানা অনূঢ়ের হাতে,যার কলমের ছোঁয়ায় হয়ে উঠবআজকের দিনে সেই বনলতা সেন! আমাকে নিয়ে যাক...

প্রকৃতি

গোলাম মাওলা জসিম একটু বোঝ প্রিয়াতোমাকে হারানোর ব্যথাআমার জন্য হবে অসহনীয় যন্ত্রণামায়া বড়ই কষ্টদায়ক।ইচ্ছে করলেই ভোলা যায় নাস্মৃতি থেকে মুছে দেয়া যায় নাআকাশে জমে থাকে মেঘযেমন একদিন বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়েপ্রকৃতির ধূলা মাখা গায়েপ্রাণ ফিরে...

হইহুল্লোড়

সুজন দাশ হইহুল্লোড়ে থাকতাম মেতে আমাদের শিশুকালে,কখনো ছুড়েছি মৌচাকে ঢিল কখনো চড়েছি ডালে!দল বেঁধে যত পাড়ার ছেলেরা নানান খেলাতে মাতি,ঝাঁপ দিয়ে পড়ি পুকুরের জলে বড়শিতে মাছ গাঁথি! খেলি মার্বেল ডাংগুলি আর হাডুডু বউচি যত,ফুটবল খেলা ক্রিকেট...

এক প্রবাসী

জর্জেস মোহাম্মদ প্রবাস তুমি ধন্য করেছ,অন্ন তুলেছ মুখে,বস্ত্র দিয়েছ রং চঙ্গে,জীবন সুখে দু:খে।আবাস দিয়েছ নানা ঢঙ্গে,নানা কারুকাজ ,শীতল তাপ,তপ্ত বিহনে মনের মত সাজ। নিয়েছ কেড়ে মুখের বুলি,মায়ের ভাষা,দিয়েছ অঢেল,নানা ভাষা,প্রসন্ন আশা।স্বপ্ন শুধু স্বপ্নীল ,সুক্ষ অনুভূতির জাল,শুধু...

অলিখিত চুক্তি

নুশরাত রুমু পুরোনো প্রেম জাগল আবারনতুন অবগুণ্ঠনেসারি সারি দৃশ্যপটেযত ছিল স্মৃতির ঘটেবেরিয়ে এসে খুশির বেগেমধু খোঁজে মৌবনে। পুরোনো মন নোঙর ফেলেহারানো সেই বন্দরেঅনুভূতির পর্দা তোলাজানি অতীত যায় না ভোলাসময় তবু আদেশ করেআবেগ মুছে ভুল তারে। পুরোনো দিন...

মন্দির, গীর্জা, মসজিদ

জামাল আস-সাবেত একটা পাখি মন্দিরের কাছে ঘুরে আসেগীর্জায় গিয়ে গান গায়মসজিদের মীনারে বসে থাকেমানুষের মতো সেও ভাবে এতো কী হয় যেমানুষ উপরন্তু মানুষকে খুন করে! একটা পাখি বিরক্ত প্রায়বসন্তেরকোকিলের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে-তুমি স্বার্থপর কেন?ঋতুরাজ ছাড়া কালেভদ্রেও...

তোমাকে খুঁজি আমি

সুমন শাহনেওয়াজ : তোমাকে খুঁজি আমিপথে পথে ঘাটে ঘাটেক্লান্ত পথিক বেশেএকাকী চুপিসারে নির্জনে নীরবে। তোমাকে খুঁজি আমিধুলোবালি আরসোঁদা মাটির গন্ধেযেখানে আকাশআর কাঁদা মাটিতে এখনো মাখামাখিশরতের অগোছালো কাশবনে। তোমাকে খুঁজি আমিস্রোতস্বিনী ধানসিড়ি নদীর বাঁকে বাঁকেতোমার আমার কাক্সিক্ষত মিলন...

আহম্মদ হোসেন বাবুর কবিতা

১. মৌসুমির পাগলামি পুড়ে যাচ্ছি আমি দাবদাহ চলছে অরণ্য পুড়ছে জলে জ্বলে আগুন!মৃত্তিকা ফাটছে যাচ্ছে মরে মাছ চলে গেছে ফাগুন!তৃষ্ণায় কাতর নদী আর সাগরমানুষের কারণে থেমে গেছে জাগর।সেই মানুষকেই করি মিনতি আসুন সবাই জাগুন। ২. খোয়াবনামাঅঘোষ...

সর্বশেষ সংবাদ

- বিজ্ঞাপন -